দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ ইটভাটার ৫টিতে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত দুই ধরে পরিচালিত অভিযানে এসব ইটভাটার মালিককে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসময় কোনো কাগজপত্র না থাকায় চিমনিসহ ইটভাটা গুলোর ভাটা ও কাঁচা ইট এস্কেলেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ইটভাটার কার্যক্রম দৃশ্যমান না থাকায় ভবিষ্যতেও কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন মর্মে মালিকের কাছ থেকে অঙ্গীকার নামা নেওয়া হয়েছে। উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নে ২৩ টিসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৫০টি ইটভাটা রয়েছে।
অভিযানে ধ্বংস করা ইটভাটা গুলো হচ্ছে চর নেয়ামত গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পান্না ব্রিকসকে নগদ ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় চর আফজল গ্রামের তাহের বিশ্বাসের ৪ স্টার ব্রিকসকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, চর আলগী গ্রামের মেসার্স এ টি সি ১ ও ২ ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা জরিমানা, এবং একই এলাকার আল্লাহ দান মালিক না পাওয়ায় ফিল্ড মাঝিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইট প্রস্তুত ও স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২৩ (সংশোধিত – ২০১৯) অনুযায়ী এ জরিমানা করা হয়।
অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব পৃথক ইটভাটায় যৌথ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সৈয়দ আমজাদ হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্টট মজিবুর রহমান এবং পরিবেশ অধিদপ্তর লক্ষ্মীপুর জেলা কার্যালয়ের সহ-কারী পরিদর্শক মো মোজাম্মেল হক। অভিযানে সহায়তা করেন সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ওয়ারেন্ট অফিসার আমান উল্যাহসহ ক্যাম্প সদস্যরা রামগতি ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক জাকির হোসেন ও সদস্যরা এবং রামগতি থানা পুলিশের একটি দল।
পরিবেশ অধিদপ্তর লক্ষ্মীপুর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৫টি ইটভাটায় গত দুই দিন ধরে (বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত) ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া ইট পোড়ানোর দায়ে ভাটাগুলো গুড়িয়ে ধ্বংস করা ও জরিমানা আদায় করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ আমজাদ হোসেন জানান, পরিবেশের চারপত্র ও বেআইনি ভাবে গড়ে উঠা ইটভাটা গুলোতে অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে ধ্বংস করা ও অর্থ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।