দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা সাকিব হোসেনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ শুক্রবার দুপুরে রামগঞ্জ বাসটার্মিনাল এলাকায় ছাত্র–জনতা তাঁকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
সাকিব হোসেন ৪ আগস্ট চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। শেখ হাসিনার পতনের পর লাপাত্তা হন তিনি। থানা ছাত্রলীগের সদস্য ও সদর উপজেলা আটিয়াতলী এলাকার সেলিম ভূইয়ার ছেলে তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাকিব হোসেনের নেতৃত্বে জকসিন বাজার, জুগিরহাট ও ঝুমুর সিনেমা হল এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন করা হয়েছিল। সবশেষ চার আগস্ট লক্ষ্মীপুর মাদাম ব্রিজ ও তমিজ মার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়। সেখানে চার শিক্ষার্থী নিহত হন। এই ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন সাকিব হোসেন।
ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাকিব হোসেন। এরপর থেকে আত্মগোপনে চলে যায় তিনি। শুক্রবার দুপুরে রামগঞ্জ বাসটার্মিনাল এলাকায় ঘুরাঘুরি করার সময় স্থানীয় জনতা তাঁকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাসার বলেন, সাকিব হোসেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা। পাশাপাশি লক্ষ্মীপুর সদরে বৈষম্যবিরোধী চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলার পলাতক আসামি। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে সদর থানায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।