দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে দোকানের বাকি টাকা চাওয়ায় তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে (৫০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত ইউসুফ আলী পালিয়ে যায়। ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে প্রেস ব্রিফিং করে র্যাব-১১–এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের সাহারপাড়া এলাকার কনফেকশনারি দোকানি আনোয়ারকে হত্যা করে ইউসুফ পালিয়ে যায়। সেদিন রাতেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার ইউসুফ ভোলাকোট ইউনিয়নের সাহারপাড়া এলাকার মাইজের বাড়ির এরশাদ হোসেনের ছেলে। ভিকটিম আনোয়ার সাহারপাড়া এলাকার আলী রেজা বেপারী বাড়ির বাসিন্দা।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারের কনফেকশনারি দোকান ইউসুফের বাড়ির সামনে। প্রায় দেড় বছর আগে বিদেশ থেকে আসার পর ইউসুফ প্রায়ই ওই দোকান থেকে মালামাল বাকিতে ক্রয় করত। বাকি টাকা চাইলে সে দোকানির সঙ্গে খারাপ আচরণ করত। মঙ্গলবার সকালেও বাকিতে মালামাল কিনতে আসে ইউসুফ।
এ সময় পূর্বের বাকি টাকা চাইলে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে দোকানের ভেতর গিয়ে ইউসুফ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আনোয়ারের বুক, পেট ও মুখে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে আনোয়ারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই নিহতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার সাথী বাদী হয়ে ইউসুফের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত তিন-চার জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘ঘটনার ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই আমরা মামলার মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে রামগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।’