দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
গণধর্ষণের শিকার হয়ে লোকলজ্জা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। অভিযুক্ত তিন যুবকই এখন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার। এ ঘটনা শুধু একটি ধর্ষণের নয়, একজন নারীর অসম্ভব যন্ত্রণা, সমাজের অবহেলা আর বিচার পাওয়ার আগেই হারিয়ে যাওয়ার করুণ চিত্র। ঘটনাটি ঘটে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে। নিহত নারী মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামীর সংসার সামলাতে একা থাকতেন তার ৮ বছরের মেয়েকে নিয়ে। অভিযুক্ত তিন যুবক দীর্ঘদিন ধরেই তাকে উত্ত্যক্ত করছিল। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, পায়রায় তিন নম্বর সংকেতবঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, পায়রায় তিন নম্বর সংকেত গত বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে তার মেয়ে মাদরাসায় গেলে তিনজনই ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। দুপুরে মেয়ে বাড়ি ফেরার পর তাকে ছুরি দেখিয়ে বের করে দেয় তারা। এরপর পালাক্রমে ধর্ষণ করে গৃহবধূকে। ধর্ষণের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়া গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সন্ধ্যায় মরদেহ। উদ্ধার করে পুলিশ, পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। আত্মহত্যার আগে গৃহবধূ তার ইমো অ্যাকাউন্টে স্বামীর কাছে এক আবেগভরা অডিও বার্তা পাঠান, যেখানে ধর্ষণের কথা ও তার মনের যন্ত্রণা তুলে ধরেন। ওই অডিও পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিহতের বাবা আবদুল মতলব বদু বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। প্রধান আসামি ফারুক হোসেনকে (৩৪) ঢাকার রায়েরবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্প। অন্য দুই আসামি তোফায়েল আহমেদ রকি ও রিয়াজ হোসেনকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের দুইজনকে রায়পুর ও হামছাদী এলাকা থেকে ধরা হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এক প্রবাসীর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের নামে মামলা হলে প্রধান আসামি ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১। ফারুক দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।।