দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
লক্ষ্মীপুরে দোকান ঘরের দখল ও মালিকানা নিয়ে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের অন্তত ৪ জন আহত হয়। আহত সবাই জেলা সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর-আগে, সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চৌরাস্তা মাছ বাজার এলাকায় দোকান ঘরের মালিকানা নিয়ে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে।
আহতরা হলেন- কোহিনূর বেগম, গোলাম কুদ্দুস, আসিফ ও অপর পক্ষের মো. ছামির।
খবর নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ বছর ধরে স্থানীয় শাহ্ মো. এমরান ও মৃত গোলাম কিবরিয়া মোল্লার সন্তানদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। গত ৫ আগস্টের পর বিরোধ কৃত জমিতে থাকা একটি দোকান ঘরের তালা ঝুলিয়ে দেয় শাহ্ এমরান। সর্বশেষ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে দোকান ঘরের তালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এমরানের সঙ্গে তার প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এতে দু’পক্ষের নারী-পুরুষসহ ৪ জন আহত হয়।
ভুক্তভোগী গোলাম কিবরিয়ার দুই-মেয়ে কোহিনুর বেগম ও জেসমিন আক্তার জানান, জোরপূর্বক বিএনপি নেতা শাহ্ এমরান তাদের দোকান ঘরে তালা দেয়। এমরানের অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ। সর্বশেষ গতকাল দোকানে তালা মারাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হলে এমরান ও তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে এতে আমি ও আমার ভাইসহ ৩ জন গুরুতর আহত হই। এ ঘটনায় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা এ ঘটনার সুস্থ বিচারের দাবি করছি।
অভিযুক্ত শাহ্ মো. এমরান বলেন, সমাধানের জন্য ৫ তারিখের পর আমি দোকান ঘরের তালা দিই। আমি এ দোকান ঘরের প্রকৃতিক মালিক। তারা জোরপূর্বক আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময় আমার দোকান ঘর দখল করে নেয়। সর্বশেষ তারা গতকাল আমার সঙ্গে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে আমার ওপর হামলা করে। তারা আমার ভাতিজা সামির মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কাগজপত্র নিয়ে বসতে আমি রাজি আছি সমাধানের স্বার্থে।
লক্ষীপুর সদর মডেল থানার এস.আই গোলাম মোস্তফা বলেন, এক পক্ষের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। দুই-পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আদালতকে অবিহিত করা হবে।