দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
লক্ষ্মীপুরের সাবেক দুইজন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে আটক করতে পুলিশকে আহবান করেছেন, আওয়ামীলীগের একজন নেতা। মঙ্গলবার ( ১৮ মার্চ) ভোরে পুলিশ ও প্রশাসনকে আহবান করে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের আহবান করেছেন এ দু নেতার খোঁজ পুলিশে দেয়ার জন্য।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রদানকারী ওই আওয়ামীলীগের নেতার নাম মুনছুর মোল্লা। তিনি লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এবং চর কালকিনি (মতিরহাট) এলাকার বাসিন্দা।
আওয়ামীলীগ নেতা মুনছুর মোল্লা যে দুজন শীর্ষ আওয়ামীলীগ নেতাকে পুলিশে ধরতে আহবান করেছেন, তাদের একজন হলেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন । অপর জন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু।
আওয়ামীলীগ নেতা মুনছুর মোল্লা তার স্ট্যাটাসে লেখেন,
লক্ষ্মীপুরে আওয়ামীলীগ ধ্বংসের মাস্টারমাইন্ড ,প্রশাসনের ভাইয়েরা আওয়ামী লীগের নিরীহ কর্মীদেরকে না ধরে এদেরকে ধরুন, এরা দল বিক্রি করে শত শত কোটি টাকা কামিয়াছেন। আওয়ামী লীগের কর্মীদের উচিত এরা কোথায় আছে খবর নিয়ে এদেরকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া।’’
ওই স্ট্যাটাসের আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী প্রতি উত্তর দেন।
এদের মধ্যে
Raju Bhuiyan নামের একজন লিখেছেন, লক্ষীপুর জেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন ধ্বংসের কারিগর এই দুইজন ।
এড. এম.এ.কাইয়ুম পাটওয়ারী
সঠিক।রহস্যজনকভাবে হলেও সত্যি। এদের নামে মামলাও খুব কম। নাই বললেই চলে।অথচ নিরীহ কর্মীরা অনেক মামলার আসামি।
মেহেদী হাসান জসিম
সঠিকতর কথা ওরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য একটা অভিশাপ এবং জামাত বিএনপির সাথে এখনো আঁতাত করে বহাল তবিয়তে আছে অন্য দিকে দলের সাধারণ কর্মীরা জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
লক্ষীপুর বসে বসে চেয়ারম্যন বানাত টাকার বিনিময়।টাকার বাণিজ্য করত।ওদের ধরিয়ে দেওয়া সকলের নৈতিক কর্তব্য। ওরাই বটপার।
এঁরা মনে হয় বিএনপি অথবা কোন জামায়াত নেতার আশ্রয়ে আছে নেতারা টাকা দিয়ে নিরাপদে থাকে কর্মিরা নির্যাতীত হয়
মামা এক সময়তো এরা প্রিয় ভাই প্রিয় লিডার প্রিয় অভিভাবক ছিলো এবং মানবতার ফেরীআলা ও ছিলো এদেরকে নিয়ে কিছু নেতা দৈনন্দিন দু চারটা পোস্ট না দিলে ঘুম হতো না, এখন হঠাৎ করি এই ভাবে খারাপ হয়ে গেলো কেন? এখান থেকে আমরা বুঝতে পারলাম আওয়ামী লীগের পোস্ট পদবি যত নেতা ছিলো সবাই অবৈধ ভাবে শত শত কোটি টাকা কামিয়ে গেছে ।